খুলনা, বাংলাদেশ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  জুলাই গণহত্যায় গুলির নির্দেশ: সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  বরিশাল সদর উপজেলায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  বর্ণিল আয়োজনে শেষ হল এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, শোভাযাত্রায় অংশ নেন ২৮ জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ
  স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

যশোরে শিশু ধর্ষণ মামলার পুরস্কার ঘোষিত আসামি একযুগ পর আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের পাগলাদহ গ্রামে হাত পা বেঁধে শিশু ধর্ষণের হোতা লম্পট আব্দুল খালেককে (৪৪) একযুগ পর আটক করেছে ডিবি পুলিশ। ধর্ষণের ওই মামলায় তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে শিশু ধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়া এই খালেককে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পাগলাদহ মাঠপাড়ায় শিশু মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন এক মা। মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফুঁসলিয়ে ডেকে নিয়ে তার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে ওই গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আব্দুল খালেক। আলোচিত মাদক কারবারি এই লম্পট খালেক শিশুর হাত পা বেধে অপকর্ম ঘটিয়ে গা ঢাকা দেয়। তাকে আটকে ওই সময় পুলিশসহ আরো কয়েকটি সংস্থা মাঠে নামলেও কৌশলে সে আটক এড়িয়ে চলে। এর মধ্যে ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এদিকে, ঘটনার মাস কয়েক পরে ভুক্তভোগী পরিবার অজ্ঞাত কারণে পাগলাদহ ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এরপর মামলায় আদালত থেকে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এরপরও পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি প্রায় এক যুগ। এরপর সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে এলাকায় সে মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে আসতে থাকে। গত ১২ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির একটি টিম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাগলাদহ গ্রাম থেকে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ দিনই আদালতে চালান দেয়া হয়েছে আব্দুল খালেককে।

দেশ জুড়ে সমালোচিত ঘৃণিত আব্দুল খালেক প্রায় একযুগ পর আটক হওয়ায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। তবে বাদী ভুক্তভোগী পরিবার কার্যত এখন কোথায় এ ব্যাপারে পরিস্কার তথ্য নেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে। যেহেতু ধর্ষণ মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে সেই মামলায় তাকে চালান দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছেন, মোস্ট ওয়ান্টেড আব্দুল খালেককে আটক করে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। বেশ আাগেই ওই ধর্ষণ মামলার চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। আটকাদেশ মাথায় নিয়েই এতদিন সে পালিয়ে ছিল।

এদিকে আদালত সূত্র জানিয়েছে, মালামাল ক্রোকের আদেশ হয়েছিল ওই খালেকের বিরুদ্ধে। এছাড়া সরকার কর্তৃক ওই সময় পুরস্কার ঘোষণা ছিল তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!