যশোর জেনারেল হাসপাতালে বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর চাপ। দফায় দফায় রেড ও ইয়োলোজোনে শয্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হাসপাতালের ইয়েলোজোনে শয্যার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। উপসর্গধারী রোগীদের ভর্তি নিচ্ছে না জেলার কোনো বেসরকারি ক্লিনিক।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে একশ’ ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে একশ’ ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬২ জনের ও একশ’ ৫৬টি অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এদের মধ্যে দু’জন রেড ও চারজনের ইয়োলোজোনে মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নতুন উপশহরের ওমর আলী (৫৭), ঝিনাইদহের মহেশপুরের আব্দুল আজিজ (৭০),
মণিরামপুরের জামজামি গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৪০), যশোর শহরের বেজপাড়ার আবুল কালাম আজাদ (৭৩), ঝিনাইদহের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলাম (৬৫) ও মণিরামপুরের কুলিপাশা গ্রামের সালমা খাতুন (৩৫)। এদের মধ্যে ওমর আলী ও আব্দুল আজিজ রেডজোনো ও বাকিরা ইয়োলোজোনে মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। মেঝেতেও রোগী রাখার জায়গা নেই। প্রতিদিনই এ ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে মানুষ মারা যাচ্ছেন। হাসপাতালের একশ’ সাত শয্যার করোনা ইউনিট ও আইসোলেশনে একশ’ ২৯ জন ভর্তি আছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামান জানান, প্রতিদিন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক হারে করোন রোগী বাড়ছে। এসব রোগীর চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। যা দু’এক দিনের মধ্যে গ্যাস রিফিল করে চালু করা হবে। হাসপাতালে এ মুহুর্তে প্রতিটি সিলিন্ডারে ছয় হাজার আটশ’ লিটার অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতার ৪৮টি সিলিন্ডার মজুদ আছে।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ১১ হাজার তিনশ’ ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ছয় হাজার আটশ’ ৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে একশ’ ৩৩ জনের। প্রতিদিন জেলায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে শয্যা বাড়াবার প্রস্তুতি চলছে। তেমন প্রয়োজন হলে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ভাড়া করে রোগী রাখা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম