যশোরের চাঁচড়ায় রনি হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। নিহতের মা ছায়রা বেগম বাদী হয়ে সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো, সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া নারায়নপুর গ্রামের নুর ইসলাম নুরু মহুরির ছেলে ইসরাজুল (২৫), চাঁচড়া বর্মনপাড়ার পুলিন বর্মনের ছেলে রকি (২৪), একই এলাকার বিমলের ছেলে রবি (২৫), মনি বর্মনের ছেলে মানিক (২৫), ভাতুড়িয়া নারায়ণপুরের মৃত ওসমানের ছেলে নুরু মহুরি (৫০), একই গ্রামের রওশনের ছেলে গাফ্ফার হোসেন (৩৫), ইসরাইল গাজির ছেলে অহিদুজ্জামান লিটন (৪২), অজেদ ড্রাইভারের ছেলে আল-আমিন (২৮), কুদ্দুসের ছেলে শান্ত (২৮), মৃত হাসেম আলীর ছেলে রফিকুল (৩৫), হামিদের ছেলে সজল (২২), নুরু মহুরির জামাই এনামুল (৩৯)সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন।
মামলায় বলা হয়েছে, তার ছেলে রনি মাছের খামারে কাজ করতো। তিন মাস আগে রনির সাথে ইমরাজুলের ভাতুড়িয়া কলেজ মাঠে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ইমরাজুল রনিকে হত্যার হুমকি দেয়। গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ইমরাজুল ও রবি মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রনিকে। এরপর থেকে তার ছেলে রনি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ২ অক্টোবর চাঁচড়া ব্রাহ্মণপাড়া শশ্মানের পাশে মুক্তেরশ্বরী নদীতে ছেলের লাশ পড়ে আছে বলে তিনি খবর পান।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, আসামি নুরু মহুরির হুকুমে সকল আসামিরা আমার ছেলেকে শশ্মানের পাশে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ মুক্তেরশ্বরী নদীতে ফেলে দেয় ঘটনা ধামা চাপা দিতে।
মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রকিকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।