যশোরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বামী মাসুদ রানাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা এবার মারপিটের অভিযোগে নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন। মামলার বাদী যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন। এরআগে তিনি যশোর চিফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেছিলেন।
অভিযুক্তরা হলেন, নীলফামারি জেলার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, পাবনার সাথিয়ার আফতাব নগর গ্রামের জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী রাণী খাতুন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি মাসুদ রানা পরসম্পদ ও যৌতুক লোভী। মাসুদ রানার সাথে ফারজানা নাসরিনের মোবাইল ফোনে পরিচয়। পূর্বের বিয়ে গোপন করে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মাসুদ রানাকে পাঁচলাখ টাকার মালামাল ও দুই লাখ টাকার স্বর্ণলঙ্কার দেয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই মাসুদ রানা অপর দুই আসামির প্ররোচনায় ঢাকার পূর্বাচলে প্লট কেনার জন্য তার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
যৌতুকের ৫ লাখ টাকা মাসুদ রানাকে দেয়াও হয়। কিন্তু বাকি ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মাসুদ রানা তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে বাড়িতে নেবে না বলে জানিয়ে দেন মাসুদ রানা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাসুদ রানাসহ তিনজন যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে তার পিতার বাড়িতে যায়। এসময় যৌতুকের টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ফারজানা নাসরিনকে বেধড়ক মারপিট ও হত্যার চেষ্টা করে।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ