যশোরে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে কটুক্তি ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। মামলার তদন্ত শেষে সদরের বাহাদুরপুর দারুল আকরাম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি উবাইদুল শাকিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুর রহমান ফারাজী।
এ মামলার অপর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি এ মামলার প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ বিকেলে দড়াটানা জামে মসজিদের ভেতরে যশোর জেলা ফতোয়া বোর্ডের ব্যানারে ‘চলমান ভ্রান্ত মতবাদ ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের নামে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়।
এছাড়াও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে লিফলেট বিতরণ ও হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে কটুক্তি করা হয়েছে। এ জাতীয় কর্মকান্ডে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত ও বিভ্রান্ত করা হয়েছে। এ সব বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের নেতাদের মানহানি ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, এসব বিষয়ে আসামিদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় হেযবুত তওহীদের যশোর জেলা সভাপতি ফিরোজ মেহেদী বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ১২ মে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
মামলায় যশোর জেলা ফতোয়া বোর্ড ও জেলা ইমাম পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ আট জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার তদন্ত করে কোতয়ালি থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন। আদালতের আদেশে পিবিআইয়ের এসআই আরিফুর রহমান ফারাজী মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় মুফতি উবাইদুল শাকিরকে অভিযুক্ত ও অপর সাত আসামির অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন, যশোর জেলা ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুর রহমান এযাযী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি কামরুল আনোয়ার নাঈম, প্রধান উপদেষ্টা মুফতি মুজিবুর রহমান, জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরী, ঢাকা মিরপুর এলাকার মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন ও ঢাকা তালিমুল ইসলাম ইন্সটিটিউট এন্ড রিচার্স সেন্টারের পরিচালক মুফতি লুৎফুর রহমান ফারায়েজী।