যশোরে এক ভাংড়ি ব্যবসায়ির কাছে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান।
আসামিরা হলেন, কচুয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে লিটন, একই গ্রামের আব্দুল আজিজ মন্টুর ছেলে রেজাউল ইসলাম ও রূপদিয়ার চাউলিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ। এছাড়া অজ্ঞাত আরও দু’জনকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আশিকুর রহমান আশিক।
মামলায় বাদী বলেছেন, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি যশোর রাজারহাট হাতিপোতা মোড়ে মায়ের দোয়া আয়রন স্টোরে পুরাতন লোহাসহ ভাংড়ি মালামালের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ২০২১ সালে আসামিরা দেশি অস্ত্র নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ বিষয়টি সমাধান করে দেন। এরপর গত ৯ মে সকাল ১০টায় আসামিরা ফের দেশি অস্ত্র নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এবার তারা সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হত্যার হুমকি দেন। প্রতিবাদ করলে তারা দোকান ভাঙচুর করেন। বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে হত্যাসহ নানা হুমকি দিয়ে আসামিরা চলে যান। পরে বাদী স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংশার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফের চেয়ারম্যান রাজুর কাছে যান। চেয়ারম্যানও ব্যর্থ হওয়ায় তিনি গত ২ জুন আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে তিনিসহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন।