যশোরে বিশেষ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক প্রতারক। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সদর উপজেলার ঘুনী জমাদ্দারপাড়ার সামসুর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল তাসকিয়া বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
আসামি প্রতারক ওয়াহিদুজ্জামান খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামের ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়ায় গ্রামে বসবাস করেন।
মামলায় জান্নাতুল তাসকিয়া উল্লেখ করেন, দেড়মাস আগে এক ঘটকের মাধ্যমে ওয়াহিদুজ্জামান তার বাড়িতে জান্নাতুলকে দেখতে যান। এসময় ওয়াহিদুজ্জামান নিজেকে এসএসএফ’র সদস্য বলে পরিচয় দেন। তার মোবাইল ফোন নম্বরও নিয়ে যান ওয়াহিদুজ্জামান। একপর্যায়ে তিনি মেয়ে পছন্দ হয়েছে বলে বিয়ের আশ্বাস দেন। এরই মাঝে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে ওয়াহিদুজ্জামান জান্নাতুলের বাড়িতে যান।
তিনি বলেন, দুদক তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে। এসব নিয়ে তিনি প্রচন্ড ঝামেলায় রয়েছেন। এসব ঝামেলা মেটাতে তার ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। ওই টাকা না দিলে তার চাকরি হারানোসহ নানা ধরনের কথা বলেন। একপর্যায়ে জান্নাতুল তার গহনা বিক্রি করে একলাখ, নগদ চার লাখ ও চেকের মাধ্যমে আরও পাঁচ লাখসহ সর্বমোট ১০ লাখ টাকা দেন। ওই টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওয়াহিদুজ্জামান। মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। কিন্তু টাকা ফেরৎ চাইলে নানা হুমকি ধামকি দেন। এরপর ওয়াহিদুজ্জামান আত্মগোপনে চলে যান, তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জান্নাতুল খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওয়াহিদুজ্জামান প্রতারক ও ঠক। তিনি কোথাও চাকরি করেন না। প্রতারণা তার প্রধান ব্যবসা। এরপর বাধ্য হয়ে তিনি কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম