বিমানবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ভুয়া নিয়োগপত্র ও ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে যশোর বিমান বাহিনীর নিরাপত্তা ইউনিটের ওয়ারেন্ট অফিসার সাহিনুর ইসলাম কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। আটককৃতরা হলো, খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের অহেদুজ্জামান ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামের মীর আশরাফ আলী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আটক অহেদুজ্জামান যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামে বসবাস করেন। তিনি বিমান ঘাটি যশোরের সিভিলে লস্কর পদে চাকরি করতেন। বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে তাকে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাধ্যতামূলক চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন লোকের কাছে কখনো এয়ার কমোডোর শফিকুল ইসলাম আবার কখনো গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবুল কাশেম এবং উইং কমান্ডার রবিউল ইসলাম পরিচয় দেন তিনি। ওই পরিচয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। অনেককে ভুয়া নিয়োগপত্রও প্রদান করেছেন অহেদুজ্জামান। বিষয়টি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নজরে এলে অহেদুজ্জামানকে নজরদারিতে রাখা হয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিমান বন্দরের চিলি স্পাইসি ফাস্ট ফুডের দোকানের সামনে থেকে অহেদুজ্জামান ও মীর আশরাফ আলীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
এছাড়া, সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের হাসান আলীও তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেছেন। মামলায় তিনি বলেছেন, অহেদুজ্জামান নিজেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবুল কাশেম পরিচয় দিয়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে বিমান বাহিনীতে স্টোরম্যান পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখান। এ কথা বলে তার কাছ থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর কিছুদিন পর তাকে একটা নিয়োগপত্র দেন অহেদুজ্জামান। ওই নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি বিমান ঘাটিতে যোগদান করতে গেলে তা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
খুলনা গেজেট / এমএম