যশোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর শহরের মণিহার এলাকায় বিজয়স্তম্ভে ফুল দেয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে যশোরবাসী। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে বিজয়স্তম্ভে।
সকালে প্রথমে বিজয়স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার (এমপি) সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয় ।
এছাড়া যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশ মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল আটটা ৪৫ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এরপর বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বিজয় দিবসের এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
এরপর মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী ভাষণের মাধ্যমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া, হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনা ও সমৃদ্ধ এবং উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি সুনিপূণভাবে ফুটিয়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা। আগামীর সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ নির্মাণে বিজয়ের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থাস্থ্য এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কমানা, হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় কারাগার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার দেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এইচ