যশোরে পরকীয়া প্রেমের কারণে বিল্লাল হোসেন (২২) নামে দুই সন্তানের জনক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকা এক সন্তানের জননী নাসিমা খাতুন (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। বর্তমানে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার (৬ নভেম্বর) রাতে যশোর শহরের খড়কী শাহ আব্দুল করিম রোডে এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিল্লালের সাথে নাসিমার দীর্ঘদিন পরকীয়া প্রেম সম্পর্ক ছিল। শনিবার সকালে তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে। এ নিয়ে বিল্লাল ক্ষোভে ও হতাশায় ওইদিন রাতে ৮টার দিকে ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনা জানতে পেরে রাত ১২টার দিকে গলায় ফাঁস দেন নাসিমা। তবে বাড়ির লোকজন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত বিল্লালের বড় ভাই কালাম শেখ বলেন, বিল্লাল মুরগীর ব্যবসা করতো। প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাসিমা তার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়। এ টাকা ফেরত না পেয়ে গত রাতে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
অবশ্য, পরকীয়া এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন নাসিমা ও তার বড় বোন আদুরী বেগম। হাসপাতালের বেডে থাকা নাসিমা বলেন, বিল্লাল আমাকে ভালবাসতো। কিন্তু আমি তাকে পাত্তা দিতাম না। শনিবার সে আত্মহত্যা করার পর তার স্বজনরা আমাকে দুষছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সে কারণে আমিও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম।
তিনি বিল্লালের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এছাড়া আহত নারীর অবস্থা ২৪ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টির খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএ