মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে মানহাণি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কণ্ঠ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আব্দার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, দৈনিক গ্রামের কণ্ঠ পত্রিকার প্রকাশক শাহরিয়ার আলম খান, সম্পাদক শাহিনুর রহমান পান্না, যশোর সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের আমীর আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান ও মৃত দেবেন্দ্রনাথের ছেলে মাধই কুমার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর আব্দার হোসেন সুনামের সাথে ব্যবসা ও চাষাবাদ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। আব্দার হোসেনের পৈত্রিক ১৮ শতক জমি মিথ্যা মিস কেসের কাগজপত্র দেখিয়ে মাধই কুমার ও আব্দুল মান্নান রেকর্ড করে নেয়। বিষয়টি জানাজানির পর রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করেন আব্দার হোসেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেয়া এ মামলার রায় আব্দার হোসেনের অনুকুলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ এপ্রিল মাধই কুমার ও আব্দুল মান্নান তার বাড়িতে গিয়ে নামপত্তনের খরচ হয়ে যাওয়া ১ লাখ টাক চাঁদা হিসেবে দাবি করেন। এ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে খুন-জখম করবে বলেও হুমকি দেয়। এ ঘটনার জের ধরে আব্দুল মান্নান ও মাধই কুমারের দেয়া মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে গত ২৫ মে যশোরের মণিরামপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘ভুমি দস্যুর আতংকে ভেকুটিয়ার হিন্দু সম্প্রদায়’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আসামিরা তাকে সমাজে হেয় করতে এ সংবাদ প্রকাশ করেছেন। ২৫ মে বিকেলে সাক্ষীদের মাধ্যমে প্রত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি জানতে পেরে খোঁজখবর নিয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।