যশোরের বড় হৈবতপুর গ্রামে কামনা সরকার (৩৫) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পিতৃ পক্ষের অভিযোগ স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে মুখে কীটনাশক ঢেলে হত্যা করেছে। তবে স্বামীর স্বজনদের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত কামনা সরকার সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মৃত বিপুল সরকারের মেয়ে ও বড় হৈবতপুর গ্রামের প্রশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী।
মৃতের ভাই বাপ্পি সরকার জানান, ১৫ বছর আগে কামনা সরকারের সাথে পারিবারিকভাবে প্রশান্ত বিশ্বাসের বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের ৩ মাস পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে তাকে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে এ পর্যন্ত তার শ্বশুর বাড়িতে প্রায় ১০ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রশান্ত বিশ্বাস চৌগাছা উপজেলার এক নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়েন। ওই নারীর জন্য তাদের সংসারে প্রায়ই বিরোধ চলে আসছে।
সর্বশেষ কামনার কাছে স্বামী প্রশান্ত আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু কামনা এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় ৩০ মার্চ তাকে মারপিট করে স্বামীর বাড়ির লোকজন মুখে কীটনাশক ঢেলে গ্রামে প্রচার করে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু ঢাকায় নেয়ার পথেই বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে তার মৃতদেহ যশোর হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই কামরুজ্জাম জানান, আমরা এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলতে পারবো।
খুলনা গেজেট/এনএম