যশোরে নির্বাচনী সহিংসতা থামছে না। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, সহিংসতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সহিংসতার মধ্যেই চলছে প্রচার প্রচারণা। প্রতিদিনই ঘটছে ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা।
বৃহস্পতিবার(৩০ ডিসেম্বর) রাতে রামনগরের ডহরসিঙ্গিয়া গ্রামে নৌকার নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষরা। একই রাতে সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের সিলুমপুর ও নারাঙ্গালী বাজারে পৃথক স্থানে বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থী মাসুদ রানা ফন্টুর বাসভবনে রাত বারোটার দিকে এ হামলার ঘটে। প্রার্থী ফন্টু বলেন, আমি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এ নির্বাচনে মেম্বর প্রার্থী। আমার জনপ্রিয়তার কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার উপর এ বোমা হামলা চালিয়েছে। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
একই রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ডহরসিঙ্গিয়া গ্রামে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষরা। রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা এ অফিসে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আগুন দেখে এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভায়। নৌকার প্রার্থী নাজনিন নাহার বলেন, নির্বাচনে তার জোয়ার দেখে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এদিকে, একইরাতে নারাঙ্গালী বাজার এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য হারুন অর রশিদের বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, আর কতবার হামলার শিকার হবো। বিগত ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও বর্তমানে ইউপি নির্বাচনে আরও একবার হামলার শিকার হলাম। নৌকা প্রতীকের পক্ষে থাকলেই আমার উপর এ হামলা হয়। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি জানান।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক লিয়াকত আলী সহিংসতার বিষয়ে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার প্রতিপক্ষরা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং জনবিচ্ছন্ন হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে নৌকার সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোমা হামলাসহ ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমার কর্মী সমর্থকদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। তিনি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আটকের দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/ এস আই