যশোরের করোনা পরিস্থিতি আবারো ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে তিনজনের। এদের মধ্যে দু’জনই ভারতীয় ও অপরজন বাংলাদেশের নাগরিক। খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে এই প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলো হলে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যশোর জেলাকে মধ্যমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ কারণে যশোর জেলাকে হলুদ জোনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও যশোরে করোনা নিয়ে সচেতনার ব্যাপক অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহর ও শহরতলীর অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ব্যবহার করেছেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। ফলে দিনে দিনে করোনার আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বুধবার যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত করেন। যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আক্রান্ত ভারতীয় দুই নাগরিকের মধ্যে একজন পুরুষ, যার বয়স ৩০ বছর এবং নারীর বয়স ৪১ বছর। তাদের মধ্যে করোনার তেমন কোনো উপসর্গ নেই। অপর আক্রান্ত বাংলদেশি নাগরিক একজন পুরুষ এবং তার বয়স ২৫ বছর। তিনি স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে গবেষক দলটি ধারণা করছেন। তার তিন দিন ধরে ঠান্ডা, গলা ব্যাথা ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ নেই। গবেষকরা জানান, করোনাভাইরাসের নতুন এ ধরণটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি করোনার ডেল্টা ধরনের চেয়ে প্রায় চারগুণ শক্তিশালী। গবেষক দলটি আরো জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে করোনার নতুন এ ধরনের স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন বিদ্যমান। যশোরে পরীক্ষায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া তিনজনের ডাটা জিআইএসএআইডি ডাটাবেজে জমা দেয়া হয়েছে। এরপরই তাদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নতুন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তারা জানান।