জামাইকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় শাশুড়ি ও অপর জামাইকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার রাতে তাদের বাঘারপাড়া উপজেলা থেকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, রুপালী বেগম ও আহত রায়হানের ভাইরা ভাই সবুজ।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রায়হান রোববার শ্বশুর বাড়ি বাঘারপাড়া উপজেলার জামালপুর মাথাভাঙ্গা গ্রামে যায়। পারিবারিক কলহের কারণে শাশুড়ি রুপালী বেগম ও তার অপর জামাই সবুজ ভিকটিম রায়হানের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর সোমবার গভীররাতে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ওই দু’জনকে আটক করে।
আহত রায়হান জানান, সাথে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। রবিবার বিকেলে স্ত্রী ফোন করে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে নেয়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে তিনি গেলে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তারা। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আহমদ তারেক সামস জানান, ভিকটিমের বুক, পিঠ, পেট ও মাথার একাংশ দগ্ধ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার শরীরের ৪০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, রায়হানের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি স্ত্রী রাবেয়াকে নিতে এসেছিলো রায়হান। রাবেয়া যেতে রাজি না হওয়ায় রায়হান নিজেই গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।