খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আজ সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

যশোরে চাহিদার অতিরিক্ত ডিম উৎপাদনেও কমছে না দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত খাদ্যপণ্য ডিম। এখন ডিমের দাম নিয়ে হতাশ নিম্ন আয়ের মানুষ। যশোরে চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ ডিম উৎপাদন হলেও বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এমনকি সরকারের বেধে দেয়া দামেও ডিম মিলছে না কোথাও।

যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, জেলায় সর্বমোট ১২৩টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। এসব ফার্মে বছরে ৫০ কোটির বেশি ডিম উৎপাদন হয়। আর জেলায় বছরে ডিমের চাহিদা রয়েছে ৩১ কোটির কিছু বেশি। এসব লেয়ার খামারের মধ্যে ১০/১২টি বড় ফার্ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয় আফিল লেয়ার ফার্ম, চাঁদ অ্যাগ্রো ও স্পেক্ট্রা হেক্সা পোল্ট্রি ফার্মে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, আফিল লেয়ার ফার্মে প্রতিদিন সাড়ে চার লাখ, চাঁদ অ্যাগ্রোতে ৫০-৬০ হাজার ও স্পেক্ট্রা হেক্সা পোল্ট্রি ফার্মে ৫০ হাজার ডিম উৎপাদন হয়। এ হিসেবে সবগুলো ফার্ম মিলিয়ে বছরে ৫০ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। এর বিপরীতে যশোর জেলায় বছরে ডিমের চাহিদা রয়েছে ৩১ কোটি পিস। বাকি উৎপাদিত ডিম জেলার বাইরে চলে যায়। এছাড়া, কিছু ডিম বাচ্চা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। আবার বাইরের জেলা পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও ডিম যশোরে আসে।

বর্তমানে যশোরের বাজারের প্রতিটি ডিম ১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। কিন্তু এ দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ডিম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

ঝিকরগাছার ডিম উৎপাদনকারী খামারি আব্দুল্লাহ আল শাওন বলেন, মুরগীর ফিডসহ অন্যান্য উপকরণের দাম না কমানো পর্যন্ত ডিমের দাম কমানো কোনোভাবেই সম্ভব না। ডিমের দাম নিয়ে হৈ-চৈ না করে খাবারের দাম কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। সরকার যদি উপকরণের দাম কমাতে সক্ষম হয়, তাহলে ডিমের দাম স্বাভাবিকভাবে কমে যাবে। তা না হলে যতই চিল্লাপাল্লা করা হোক না কেন, কোনো কাজ হবে না। সরকার বেশি কড়াকড়ি করলে হয়তো অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। এতে সংকট আরও বাড়বে। এদিকে, দেশে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার তিন দফা ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। কিন্তু ডিম আমদানি হয়েছে খুব কমই। যা ডিমের বাজারে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলে এ উদ্যোগ কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। অবশ্য সরকারের এ উদ্যোগেও ফায়দা লুটছে ব্যবসায়ীরা। তারা কমদামে ভারত থেকে ডিম আমদানি করে দেশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছেন।

এসব বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, অনেক জেলায় বন্যা হওয়ার কারণে বেশকিছু খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে ডিমের ওপর চাপ পড়েছে। একইসাথে বাজারে মাছসহ অন্যান্য সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। যেহেতু দেশে ডিমের চাহিদা বেড়েছে এ কারণে দামও কিছুটা বেড়েছে। তারপরও খাবারসহ অন্যান্য উপকরণের দাম কমাতে হবে। তা না হলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!