যশোরের নীলগঞ্জ মোড়ের দেশ সেফটি ফোর্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ভুয়া কোম্পানীতে চাকরি প্রত্যাশী ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ চক্রের মূলহোতাসহ তিন জনকে আটক করেছে র্যাব-৬।
বৃহস্পতিবার রাতে নীলগঞ্জ এলাকায় কোম্পানির অফিস থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া নগদ ৬২ হাজার ৯শ’ ৫০ টাকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বুদ্ধার করে র্যাব। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
আটককৃতরা হলো, প্রতারক চক্রের মূলহোতা যশোর শহরের সিটি কলেজপাড়ার রাশেদুল হাসান, ঝিকরগাছার ফতেপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, একই উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, গত ১০ অক্টোবর যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী নামে এক ব্যাক্তি র্যাব-৬ যশোর অফিসে প্রতারণার অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা ওই কোম্পানির অফিসে সরজমিনে গেলে সকল অভিযোগের সত্যতা পায়। এসময় ওই ভুয়া কোম্পানীর পরিচালকগণ র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া কোম্পানি খুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করছে বলে স্বীকারও করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেকার ছেলে-মেয়েদের প্রলোভিত করার উদ্দেশ্যে অনলাইনের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর হাজার হাজার বেকার ছেলে-মেয়েরা তাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তারা তাদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক চক্র।
র্যাব কোম্পানি কমান্ডার বলেন, আটক এই প্রতারক চক্র ঢাকার মধ্য বাড্ডা লিংক রোডে ইউনিক ফোর্স নামে একটি ভুয়া কোম্পানী খুলে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে। ইউনিক ফোর্স প্রতিষ্ঠানে রাশেদুল হাসান ছিলেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, আশরাফুল ও শরিফুল ইসলাম ছিলেন অ্যাডমিন অফিসার। ইউনিক ফোর্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা জানাজানি ও র্যাব-১ অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রটি যশোরে দেশ সেফটি ফোর্স প্রাইভেট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণামূলক একই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। অভিযোগকারি বায়েজিদ বোস্তামী এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ