যশোর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুলের উপর সন্ত্রাসীরা হামলার ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পর হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন আসাদুজ্জামানের স্ত্রী মনিরা সুলতানা কণা।
মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জুগীখালী গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে শংকরপুর এলাকার ভাড়াটিয়া সাকিব, শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার আব্দুল রউফ খানের ছেলে রাজিব খান, পাসপোর্ট অফিস এলাকার মনোয়ার হোসেন, সাদেক দারোগার মোড়ের মৃত সৈয়দ মনিরুল ইসলামের ছেলে আরিফ। হামলাকারী এ মামলার আসামি কেউ আজো আটক হয়নি।
মামলায় বাদী উলেখ করেন, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুল ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ওই ওয়ার্ডের বিট পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আসামি সাকিব ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। আসাদুজ্জামান বাবুল এ বিষয়ে সাকিবকে বাধা প্রদান করেন। তার পরেও সাকিব নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকেন। এসব বিষয় নিয়ে সাকিবের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিলো বাবুলের। এরই জেরে ওই এলাকার মনোয়ার হোসেনের বাড়িতে বাবুলকে হত্যার পরিকল্পনার একাধিক মিটিং করে তারা। গত ৩০ মে ওই এলাকার আফজালকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বাবুল আফজালের জানাজায় অংশ নেন। পরে জানাজা শেষ করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। একই পথে ফিরছিলেন আসামি রাজিব, মনোয়ার হোসেন, আরিফসহ আরো কয়েকজন। সন্ধা সাড়ে সাতটায় শংকরপুর জিরো পয়েন্ট পাসপোর্ট অফিস মোড়ে পৌছালে সাকিব পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো কুড়াল নিয়ে বাবুলের মাথার পেছনে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় রেফার করা হয়। এখনও তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।