যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকায় তাঁতীলীগ নেতা আব্দুর রহমান কাঁকন হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ হত্যা মিশনের সদস্যদের শনাক্ত করলেও নিহতের মা সুফিয়া বেগম মামলায় কারো নাম উল্লেখ করেননি। এ ঘটনার পুলিশ ৩ জনকে হেফাজতে নিয়েছে বলে তথ্য মিললেও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তা স্বীকার করেননি। তার দাবি দ্রুতই জড়িতরা শনাক্ত ও আটক হবে।
গত ১৭ নভেম্বর রাতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন হন বারান্দীপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে তাঁতীলীগ নেতা আব্দুর রহমান কাঁকন। নানা দোষে দুষ্ট একাধিক মামলার আসামি কাঁকন খুনের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে নানামুখি তথ্য জানা যায়। এলাকায় অনৈতিক ব্যবসা ও আধিপত্য নিয়ে তারই পরিচিত জনদের সাথে তার বিরোধ তুঙ্গে ওঠে উল্লেখ করে একাধিক সূত্র জানায়, এলাকার সাদ্দাম ও জিতুর সাথে তার দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে ওইদিন রাতে তার উপর হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতেই ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু ঘটে। হত্যাকান্ডের পর চক্রটি এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেয়। এসব তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও দেয় এলাকাবাসী।
এদিকে, হত্যার ঘটনায় থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও পিবিআই যশোরের পৃথক টিম এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এসময় তারা ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩ জনকে হেফাজতে নিয়েছে বলে এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কাঁকন হত্যাকান্ডে এখনো কেউ আটক হয়নি। তবে আসামি শনাক্ত হয়েছে ও তাদের আটক অভিযান চলমান রয়েছে। নিহতের মা আসামি অজ্ঞাত করে থানায় মামলা দিয়েছেন। তবে এ মামলা নিয়ে এলাকাবাসী সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেছেন কাঁকন হত্যাকারী কারা সেটা এলাকাবাসী সবাই জানে। কিন্তু তার মা মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করেনি। তিনি অজানা কোনো ভয়ে, নাকি কারো প্রভাবে বা চাপে মামলায় কারো নাম দেননি এ নিয়েও এলাকায় চলছে সমালোচনা।
এলাকাবাসী সূত্র জানিয়েছে, নিহত কাঁকনের মুল বাড়ি পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার বিপুল টেইলার্সের পশে। তিনি বারান্দীপাড়া মোল্লাপাড়ায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন। এখানে থেকেই তিনি নানা অপকর্ম চালিয়ে যেতেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছে।
খুলনা গেজেট/এএ