যশোরে জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রি ও সহযোগিতার অভিযোগে ঝিকরগাছার এসিল্যান্ড, বাঁকড়া ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ঝিকরগাছা উপজেলার খোশালনগর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ঝিকরগাছার খোশালনগর গ্রামের মৃত জলিল দফাদারের তিন ছেলে আজগর আলী, আব্দুর রাজ্জাক, কাশেম আলী, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মৃত নবীছ উদ্দিনের ছেলে আজগর আলী, বাঁকড়া ইউনিয়নের তৎকালিন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, অফিস সহকারী সাকায়াত হোসেন ও তৎকালিন সহকারী কমিশনার (ভুমি) কাজী নাজির হাসান।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা একে অপরের সহযোগিতায় ১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বর নুর মোহাম্মদকে দাতা দেখিয়ে ৬৮৯৩ নম্বর কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করেন। প্রকৃত পক্ষে নুর মোহাম্মদ ওইদিন রেজিস্ট্রি অফিসে যাননি। আসমিরা জালিয়াতি করে অন্য কাউকে দাতা সাজিয়ে এ জমি রেজিস্ট্রি করেছেন। এ জাল দলিল করলেও আসামিরা তা প্রকাশ করেননি। নুর মোহাম্মদের মৃত্যুর পর ২০২১ সালের ১০ জুন অভিযুক্তরা কবলা দলিলের কথা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি জানার পরে নুর মোহাম্মদের ছেলে শরিফুল ইসলাম দলিলের কপি তুলে জাল জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হন। আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় এ জাল জালিয়াতি করে কবলা দলিল তৈরি করে জমি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড