যশোরে ইসরাইল হোসেন রনি নামে এক যুবক তার স্ত্রী শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শারমিন সুলতানা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইসরাইল হোসেন রনির অভিযোগে বলেছেন, ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে শারমিন সুলতানার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা এবং তার তিন ভাইসহ একই পরিবারে সংসার শুরু করেন। কিন্তু সংসার জীবনে তার স্ত্রী প্রথম থেকেই ছিলেন অসহযোগী ও একরোখা। এরই মধ্যে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স তিন বছর। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি এবং শ্যালিকা তার স্ত্রীকে সংসার থেকে আলাদা হওয়ার জন্য নানাভাবে প্ররোচনা দিতে থাকেন। ফলে তার স্ত্রী আলাদা সংসারের জন্য তাকে চাপ সৃষ্টি করেন। তিনি সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান। এরপর শাশুড়ির কুপরামর্শে তার স্ত্রী পৈত্রিক জমিও ভাগ করে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ জন্য তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।
একপর্যায়ে তার স্ত্রী চার ভরি সোনার অলংঙ্কার এবং মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী চলে যাওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এ কারণে তিনি স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য শ্বশুর বাড়িতে যান। ওই সময় তার স্ত্রী সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, তাকে যৌতুক হিসেবে দশ লাখ টাকা অথবা এক বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হবে। নইলে তিনি স্বামীর সংসার করবেন না।
এ ঘটনার এক বছর পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ইসরাইল হোসেন রনি স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ভায়রা মোখলেছুর রহমানকে তার বাড়িতে ডেকে আনেন। তাদেরকে আপ্যায়নের পর স্ত্রীকে সংসার করার জন্য অনুরোধ করেন ইসরাইল হোসেন রনি। এতে তার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে সাফ জানিয়ে দেন, যৌতুক হিসেবে দশ লাখ টাকা অথবা এক বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে না দিলে সংসার করবেন না। স্ত্রীর পরিবারের লোকজনও তার দাবির প্রতি সমর্থন জানান। এর প্রতিবাদ করলে স্ত্রী শারমিন সুলতানা তার স্বজনকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যান বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন ইসরাইল হোসেন রনি।
খুলনা গেজেট/এনএম