যশোরে এবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ রানা পাবনা জেলার আফতাব নগরের আব্দুল আলিমের ছেলে। বর্তমানে তিনি নীলফামারী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের ইকরামুল হকের মেয়ে ফারজানা নাসরিন বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারি করে আগামী ১৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, মাসুদ রানা একজন নারী লোভী, যৌতুক লোভী ও প্রতারক। গত বছরে বাদীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসামির পরিচয় হয়। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ লাখ এক টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বাদীর পরিবারের তরফ থেকে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ও দুই লাখ টাকার গহনা প্রদান করেন। কিন্তু বিয়ের পর বাদী জানতে পারেন গত বছরের ২১ জুন শামসি নাহিদ অঞ্চা নামে এক মেয়ের সাথে মাসুদ রানার বিয়ে হয়েছিলো। পরবর্তীতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে ওই বছরের ৪ নভেম্বর তাকে তালাক দেন।
বিষয়টি বাদী ও বাদী পরিবারের কাছে গোপন রেখেই ফের বিয়ে করেন মাসুদ রানা। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই মাসুদ রানা বাদীর কাছে ঢাকা পূর্বাচলে প্লট কেনার অজুহাত দিয়ে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাদীর পরিবার আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করেন। এরপর বাকি পাঁচ লাখ টাকার জন্য তিনি বাদীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। সর্বশেষ যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত মাসে বাদীর বাড়িতে এসে মারপিট করে এবং যাওয়ার সময় বাকি টাকা না দিলে তালাক দেবে বলে জানিয়ে দেয়। পরে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাদী আদালতের আশ্রয় নেন।
খুলনা গেজেট/এনএম