যশোরে এবার একদিনে মাদক, চোরাচালান ও চেক ডিজঅনারসহ পঞ্চাশ মামলার রায় ঘোষণা করেছে একটি আদালত। রায়ে ৩১ মামলায় ৩২ আসামিকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ১৯ মামলায় ১৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যুগ্ম দায়রা জজ ২য় ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস পৃথক রায়ে এ সাজা ও খালাস প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১২ জনকে প্রবেশনে মুক্তি ও একজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে, বাকি সাজাপ্রাপ্তরা পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে এপিপি অ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমিন। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর একই আদালত একদিনে ৪১ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় বেনাপোলের কাগমারী গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে আকরাম আলীকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড, দু’ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। বেনাপোলের গাতিপাড়া মাঠপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলামকে দু’ বছর সশ্রম কারাদন্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বেনাপোলের বলফিল্ড এলাকায় বসবাসকারী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নীলডুমুর বুড়িগোয়ালীনি গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আব্দুল মজিদ মোল্লাকে দু’ বছর সশ্রম কারাদন্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদেয় আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বুজিডাঙ্গা মুন্দিয়া গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে আব্দুস সবুরকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে। চৌগাছার আফরা গ্রামের রহমত হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগমকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এছাড়া, বাকি মামলার আসামিদের পৃথক মেয়াদে সাজা ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই