ইসলামী ব্যাংক চৌগাছা শাখার সাবেক ম্যানেজার ও সিনিয়র অফিসারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার ঝিনাইদহের মহেশপুরের ধান্যহাড়িয়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী আব্দুল হাই বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন পিবিআইকে। আসামিরা হলো ইসলামী ব্যাংক চৌগাছা শাখার সাবেক ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম ও সাবেক সিনিয়র অফিসার হাফিজুর রহমান। তারা উভয়ে বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখায় কর্মরত আছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই আব্দুল হাই ইসলামী ব্যাংক চৌগাছা শাখায় একটি হিসাব খোলেন। এরপর তিনি সৌদী আরব চলে যান। ২০১০ সালে তিনি দেশে ফিরে ১৬ সেপ্টেম্বর ওই হিসাবে তিনি ৫শ’ টাকা জমা দেন। তিনি ব্যাংক থেকে চেক বই না নিয়ে পুনরায় সৌদী আরব যান। এরপর ওই বছরের ৭ নভেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৫ মে পর্যন্ত তিনি তার হিসাব নম্বরে ৫ লাখ টাকা জমা করেন। এ টাকা উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমতি বা চেক দেয়া ছিল না। ২০১৫ সালে তিনি ব্যাংকে টাকা তুলতে যেয়ে জানতে পারেন হিসাবে জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে।
এরপর তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুলে জানতে পারেন, ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৬৮ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন বলে আশস্ত করে বাড়ি চলে যেতে বলেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আসামিরা তাকে ব্যাংকে ডেকে নিয়ে হয়রাণি ও টাকা ফেরত দিতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেয়। একইসাথে টাকা আদায়ের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে খুন জম করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে অন্য কাউকে দিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চেক ও টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। দীর্ঘ দেনদরবারের পর টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আাদলতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই