খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের মুকুট চুরি, গ্রেপ্তার ৪ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে কালী প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। রোববার (১৩ অক্টোবর) তাদেরকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে শনিবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিন গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত ছেদাম সরকারের স্ত্রী ও মন্দিরের সেবায়েত রেখা সরকার (৪৫),একই গ্রামের অখিল চন্দ্র সাহার ছেলে অপুর্ব কুমার সাহা (৪৬),মৃত গোকুল চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস ও শ্রীফলাকাটি এলাকার হরেণ বিশ্বাসের স্ত্রী পারুল বিশ্বাস।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়োন্দা শাখা পুলিশের এসআই আহমেদ কবির জানান, শনিবার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবায়েত রেখা সরকারসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনই সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৫ এ তাদেরকে ৭দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষ আদালত প্রত্যেকের ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রোববার তাদেরকে কারাগার থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনি আরও বলেন,গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে কালি প্রতিমার মাথায় নিজে হাতে একটি সোনার মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে মুকুটটি চুরি হয়। মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এঘটনায় মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতিপ্রকাশ চট্রপাধ্যায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২। পরে মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশে ন্যস্ত করা হয়।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!