যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র ইউসিবিএল ব্যাংকের সামনে বোমা ফাটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ১৭ লাখ টাকা ছিনতাই মামলার অন্যতম দুই আসামিকে আটক করেছে পুলিশ ও র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ছয় লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটক এ দুইজন হলো, যশোর শহরের মোল্লা পাড়া আমতলার লিটন হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত রাজু ও শহরতলীর ধর্মতলা খ্রিস্টান কবরস্থানের পাশের তবিবর রহমানের ছেলে সোহেল শেখ। দুইজনকে ছিনতাইয়ের পর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও চিত্র থেকে শনাক্ত করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর ২টায় ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিং করে যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন। এসময় তিনি জানান, সোমবার ভোরে ঢাকার আদাবর শান্তরি বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় মামলার প্রধান আসামি ইয়াসির আরাফাত রাজুকে। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার আড়পাড়ায় বরিশাল থেকে আসা যশোরের বেনাপোলগামী একটি বাস থেকে আরাফাতের মা মেহেরুনকে আটক করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া র্যাব যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা রবিবার নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কালনা ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে অপর আসামি সোহেল শেখকে আটক করে। তবে তার কাছ থেকে কোনো টাকা উদ্ধার হয়নি। এদেরমধ্যে সোহেল শেখ সোমবার যশোর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রকাশ্যে যশোর শহরের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সামনে এনামুল হক নামে এক মোটরপার্টস ব্যবসায়ীকে ছুরিকাহত করে তার কাছে থাকা ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। চলে যাওয়ার সময় একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ছিনতাইকারীরা। ঘটনার পর থেকে সোমবার পর্যš- ছিনতাইয়ে জড়িত মোট সাতজনকে আটক ও ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে সাঈদ ইসলাম শুভ ও টিপু নামে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। সোমবার ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, বাকি টাকা উদ্ধার ও জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ কে এম