যশোরের শার্শা, বাঘারপাড়া ও মনিরামপুর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করলেন। যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষে তাদের শপথ বাক্যপাঠ পাঠ করান জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকতের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ শারবীন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান।
নবনির্বাচিত চ্যোরম্যানদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন শার্শা উপজেলার পুটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার সরদার, বাঘারপাড়ার দোহাকুলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার এবং মণিরামপুর ভোজগাতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ তিন উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের ২১টিতে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। বাকিগুলোর মধ্যে ১১টিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, দু’টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি এবং একটিতে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেন।
শপথ গ্রহণকারী নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন, শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নে আনোয়ারা খাতুন, পুটখালীর আব্দুল গফ্ফার সরদার, উলাশীর রফিকুল ইসলাম, ডিহির আসাদুজ্জামান মুকুল, শার্শা সদর ইউনিয়নের কবির উদ্দিন তোতা, বাহাদুরপুরের মফিজুর রহমান, গোগার তবিবর রহমান, কায়বার আলতাফ হোসেন, বাগআঁচড়ার আব্দুল খালেক এবং নিজামপুরের সেলিম রেজা বিপুল।
বাঘারপাড়ার জহুরপুর ইউনিয়নের আসাদুজ্জামান মিন্টু, নারিকেলবাড়ীয়ার বাবলু কুমার সাহা, ধলগ্রামের রবিউল ইসলাম, দোহাকোলার আবু মোতালেব তরফদার, দরাজহাটের জাকির হোসেন, বাসুয়াড়ির আমিনুর রহমান সরদার, জামদিয়ার আরিফুল ইসলাম তিব্বত, বন্দবিলায় সবদুল হোসেন ও রায়পুরের মঞ্জুর রশিদ স্বপন।
মণিরামপুরের রোহিতায় হাফিজ উদ্দীন, কাশিমনগরের তৌহিদুর রহমান, খেদাপাড়ার আব্দুল আলিম জিন্নাহ, ঝাঁপার শামছুল হক মন্টু, মশ্বিমনগরের আবুল হোসেন, শ্যামকুড়ের আলমগীর হোসেন, দূর্বাডাঙ্গার মাযহারুল আনোয়ার, কুলটিয়ার শেখর চন্দ্র রায়, নেহালপুরের হুসাইন ফারুক হোসেন, ভোজগাতীর আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকুরিয়ার আইয়ুব হোসেন গাজী, হরিদাসকাটির আলমগীর হোসেন লিটন, চালুয়াহাটির আব্দুল হামিদ সরদার, খানপুরের সিরাজুল ইসলাম, মণিরামপুর সদরে নিস্তার ফারুক এবং মনোহরপুরের আকতার ফারুক মিন্টু।
খুলনা গেজেট/ এস আই