যশোর সদর উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের শংকর সাহা ও তার স্ত্রী লক্ষী রাণী সাহা জোড়া হত্যা মামলার সাত আসামি আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সাক্ষীদের মাধ্যমে প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, দেয়াপাড়ার ওমর ফারুক, রিপন, রেজাউল ইসলাম ওরফে বেড়ে রেজা, রবিউল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, নাজমুল ও মিজানুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১০ জুলাই রাতে খাওয়া দাওয়া করে শংকর সাহা ও তার স্ত্রী লক্ষী রাণী সাহা বারান্দায় এবং ছেলে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে একদল লোক বাড়িতে হামলা চালিয়ে শংকর ও তার স্ত্রী লক্ষীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত শংকর ও লক্ষী সাহাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর সাহাকে মৃত ঘোষণা ও লক্ষী সাহাকে ভর্তি করেন। ভর্তি লক্ষী সাহা চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত শংকর সাহার ছেলে লাল্টু সাহা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ৮জনকে অভিযুক্ত ও পাঁচজনের অব্যাহতি চেয়ে ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক শামিম মুছা।
এ মামলার সাক্ষ্য চলাকালে সাইফুল ইসলাম নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি