যশোর শহরের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে অনিবন্ধিত নার্স ও মিডওয়াইফ নির্মূলে অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও যশোর নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গত ২২ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ভুয়া নার্স দমনে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। ওই সময় সিভিল সার্জন তাদেরকে শহরের ক্লিনিকগুলোতে ভুয়া নার্স দমনে অভিযানের আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের একটি টিম শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান শুরু করে। তারা প্রথমেই শহরের দড়াটানা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। সেখানে দায়িত্বরত ৩ জন ডিপ্লোমা নার্স কর্মরত দেখতে পান। ওই তিন জনের মধ্যে আবার একজনের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যায়নি। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ মানা না হলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়।
এরপর একতা হসপিটালে অভিযান পরিচালনা করা হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ২২ জন নার্স আছে দাবি করেন। তবে এদের মধ্যে ৬ জন ডিপ্লোমা নার্স কর্মরত আছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানান। এ কারণে এ প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান।
সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান জানান, ভুয়া নার্স নিমূল না হওয়া পর্যন্ত শহরের ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সঠিকভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করা না হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি হুশিয়ারি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম