যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের নামে আদালতে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে। যশোর-৬ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে দাবি করে মামলাটি করেছেন কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী আযহারুল ইসলাম মানিক।
একই সাথে সংবাদ সম্মেলনে বিপুলের বক্তব্য পত্রিকায় প্রকাশ করায় মামলায় আনোয়ার হোসেন বিপুল ছাড়াও প্রথম আলো পত্রিকার যশোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদ আলম এবং পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামি বিপুলের প্রতি সমন জারি করেন। এছাড়া অপর তিনজনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে আগামী ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তি দিন ধার্য করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে শাহীন চাকলাদার তার কাঠালতলার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন দাবি করা হয়। যা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমুলক। জনসম্মুখে মিথ্যা এ কথা প্রকাশ করায় মানহানির অপরাধ করেছেন বিপুল। যা গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো পত্রিকার ছয় নম্বর পৃষ্ঠায় সাংসদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা পরিকল্পনার’ অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তারা বিস্মিত, মর্মাহত এবং বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। এতে করে শুধু শাহীন চাকলাদারের নয়, বাদীসহ কেশবপুর এলাকাবাসীর জন্যও মানহানিকর। বিভ্রান্তিকর এ তথ্য প্রকাশ করায় তাদের ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন বাদী।
এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য বিপুল উপস্থাপন করেছেন যা বাদীসহ কেশবপুরবাসী প্রথম আলো পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। সংবাদটি যাচাই বাছাই না করে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করায় বাদী তাদেরকেও অভিযুক্ত করেছেন। তবে আদালত এ মামলা থেকে পত্রিকা সংশ্লিষ্ট অপর তিনজনকে খারিজ করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে আনোয়ার হোসেন বিপুল সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে ‘হত্যা পরিকল্পনার’ অভিযোগ করেন। পরদিনই দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম