বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও কালো ছায়া ফেলেছে ভয়ংকর এক সমস্যা—ম্যাচ ফিক্সিং। বিপিএলে একাধিক ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ উঠার পর, এবার ঢাকার ঘরোয়া লিগেও এলো নতুন করে অভিযোগ।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ বলছেন, ম্যাচ ফিক্সিং অনেকটাই কমেছে, তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগে ফিক্সড ম্যাচ অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি।’
সম্প্রতি গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচকে ঘিরে সন্দেহ দেখা দিলে বিসিবি তদন্তের ঘোষণা দেয়। ফারুক বলেন, ‘যদি কোনো ম্যাচ ফিক্সড হয়, তাহলে আপনি ভালো খেলোয়াড় পাবেন না। কারণ আপনি আপনার সেরা ব্যাটসম্যানকে বলবেন শূন্য রানে আউট হতে, সেরা বোলারকে বলবেন ওয়াইড, নো বল করতে এবং উইকেট না নিতে। এটা ক্রিকেট না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুই-তিন দিন আগে আইসিসি মিটিং থেকে ফিরেছি। আমাদের একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। আমরা বিস্তারিত তদন্ত করব। যদি কোনো প্রমাণ পাই, তাহলে দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।’
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিসিবি সদর দপ্তরে অভিযান চালায়। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘আমি যেদিন আইসিসি মিটিং থেকে ফিরি, সেদিনই দুদক আসে। আমি নিশ্চিত তারা নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে এসেছে। বোর্ড পূর্ণ সহযোগিতা করবে। যেসব কাগজ বা তথ্য তারা চাইবে, আমরা দেব। আমি সিইওকে বলেছি, দুদকের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে। সে এখন সেটার কাজ করছে। তবে তারা কতদূর তদন্ত করবে সেটা এখনই বলা সম্ভব না।’
খুলনা গেজেট/জেএম