বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের পঞ্চকরনে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান সফল কৃষক জাকির শেখ (৫০)। ৮০ শতক জমিতে তরমুজ হয়েছে দেড়শ’ মন। রোপনের ৩ মাসের ব্যবধানে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচে বিক্রি করতে পারছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৫শ’ টাকা। ব্যবসায় সফল চাষীর মুখে এখন তৃপ্তির হাসি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের দেবরাজ গ্রামের সফল কৃষক জাকির শেখ তার ৮০ শতক জমিতে এ বছরে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে জিকে বিএসপি প্রকল্পের অফসিজন (গ্রীষ্মকালীন) তরমুজ উৎপাদন প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেড় হাজার তরমুজের চারা রোপন করে ৮০-৯০ দিনের ব্যবধানে দেড়শ’মন তরমুজ উৎপাদন করেছেন।
চাষী মো. জাকির শেখ বলেন, গত ২ বছর ধরে এ অঞ্চলে তিনি তরমুজের চাষ শুরু করেছেন। ভাল লাভবানও হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ দিয়েছেন। পাকিজা (বাংলালিংক), বঙ্গ জয়েন্ট (কালো), মধু মালা (হলুদ) ও এসআর (ছোট ছোট কালো রংয়ের) ৪ প্রজাতের তরমুজ উৎপাদনে বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরেও খরিপ-১ দুইশ’ ফলন্ত গাছ শত্রুতামূলকভাবে কেটে ফেলেছে রাতের আধারে। তার পরেও হাল ছাড়িনি। এবারেও গড়ে আড়াই কেজি ওজনের প্রায় তিন হাজার পিচ তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারবো।
এ বিষয়ে পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, জাকির শেখ একজন সফল চাষী। তিনি বাগেরহাট জেলার একজন দৃষ্টান্ত, প্রতিদিন তার এ ক্ষেত দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক কৃষকরা আসেন এবং উদ্বুদ্ধ হন।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিপষ্কর সমাদ্দার বলেন, কৃষক জাকির শেখকে প্রথমে ইউটিউবের মাধ্যমে তরমুজ চাষের পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি নিজ উদ্যোগে আগ্রহ করে চাষ শুরু করেছেন। তবে কৃষি অফিস থেকে নির্দিষ্ট সময়ে পোকা মাকড় দমনে পরামর্শ, বীজ, সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বাম্পার ফলন দেখে নতুন নতুন চাষীদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আকাশ বৈরাগী বলেন, গ্রীষ্মকালীন অফসিজন তরমুজ চাষে কৃষক জাকির একজন সফল চাষী। তবে, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় এবারে ১০টি ইউনিয়নের আরও ১১ জন চাষীকে এ প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে পঞ্চকরণসহ বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, খাউলিয়া, দৈবজ্ঞহাটী ও মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ২ হেক্টর জমিতে তরমুজের বীজ বপন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই