খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা
  রাজধানীর হাজারীবাগে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরের মৃত্যু

মোহাম্মদ মোরসি কী আরব বসন্তের ‘ট্র্যাজিক হিরো’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মোহাম্মদ মোরসি ছিলেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট। এক যুগ আগে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে স্বৈরতন্ত্র বিরোধী যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, সেটির ধাক্কায় পতন ঘটে মিশরের তিন দশকের শাসক হোসনি মোবারকের। এরপর ২০১২ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন মোরসি।

কিন্তু তার মেয়াদকাল বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাত্র এক বছরের মাথায় সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, যিনি সেই সময় দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান ছিলেন।

ক্ষমতাচ্যুত করার পর একাধিক অভিযোগ তুলে মোরসিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি কারাবন্দী অবস্থাতেই ২০১৯ সালের ১৭ জুন মারা যান। মোরসির মৃত্যুর পাঁচ বছর পর অনেকেই তাকে স্মরণ করছেন আরব বসন্ত খ্যাত স্বৈরতন্ত্র বিরোধী সেই গণবিক্ষোভের ‘ট্র্যাজিক হিরো’ বা ‘দুর্ভাগা নায়ক’ হিসেবে।

কিন্তু কেন মোরসিকে আরব বসন্তের ‘ট্র্যাজিক হিরো’ বলা হচ্ছে? তার এই ট্র্যাজেডির পেছনের কারণগুলোই বা কী?

সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক, মোহাম্মদ মোরসি আসলে কে ছিলেন এবং মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় কীভাবে তার উত্থান ও পতন হয়েছিল। কে ছিলেন এই মোরসি?

মোহাম্মদ মোরসি ছিলেন মিশরের ইসলামপন্থী আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন শীর্ষ নেতা। ১৯৫১ সালে মিশরের শারকিয়া প্রদেশের আল-আদওয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে মোরসি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

সেখানে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর পিএইচডি করার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পিএইচডি শেষে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে মোরসি পুনরায় মিশরে ফিরে আসেন এবং জাগাজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি মিশরের ইসলামপন্থী আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং ক্রমেই সংগঠনটির একজন শীর্ষ নেতা হয়ে ওঠেন। এরপর ২০০০ সালে পাঁচ বছরের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোরসি।

এই নির্বাচন তিনি করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।

কারণ এখনকার মতো তখনও মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় মোহাম্মদ বুয়াজিজি নামের একজন ফেরিওয়ালা নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

জানা যায় যে, প্রশাসনের দুর্নীতির প্রতিবাদে তিনি গায়ে আগুন দিয়েছিলেন। এ ঘটনার পর তিউনিসিয়ায় সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভ শুরু হয়, যা কিছুদিনের মধ্যে মিসর, সিরিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন, লিবিয়া-সহ অন্যান্য আরব দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।

দুর্নীতি, অপশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেকারত্বের প্রতিবাদে শুরু হওয়া গণবিক্ষোভের এসব ঘটনা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায় ‘আরব বসন্ত’ নামে।

আরব দেশগুলোর মধ্যে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয় মিশরে। কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী একত্রিত হন এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগ দাবি করেন। টানা ১৮দিন বিক্ষোভ চলার পর মোবারক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। এর দেড় বছরের মাথায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মিশরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০১২ সালের সেই নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে মোরসিকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর মোরসি ৫১.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং একই বছরের জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাগ্রহণ করেন। জনরোষে গণবিক্ষোভ ক্ষমতা বসার প্রথম বছর পার না হতেই মোরসি গণবিক্ষোভের মুখে পড়েন।

তার সমালোচকদের মতে, ক্ষমতা গ্রহণের সময় ‘মিশরীয় সকল মানুষের’ রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার যে প্রতিশ্রুতি মোরসি দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে তিনি সেটি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা আরও অভিযোগ তুলেছিলেন যে, মিশরের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মোরসি ইসলামপন্থী তথা মুসলিম ব্রাদারহুডকে একচ্ছত্র আধিপত্যের পথ তৈরি করে দিচ্ছেন।

এছাড়া অর্থনীতির সংকট এবং বেকারত্বের সমস্যাও তখন বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছিল। সব মিলিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই অধিকার ও সামাজিক ন্যায় বিচারের দাবিতে তাহরির স্কোয়ারে পুনরায় গণবিক্ষোভ শুরু হয়। ডিক্রি জারি ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে মিশরে পুনরায় জনরোষের প্রকাশ ঘটতে থাকে। তখন মোরসির সরকার মিশরের নতুন একটি সংবিধানের খসড়া তৈরি করছিল এবং নিজের ক্ষমতা সুদূরপ্রসারী করার চেষ্টায় মোরসি একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন।

বিক্ষোভ চলার মধ্যেই ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নতুন সংবিধানের উপর একটি গণভোটের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী এলাকা রক্ষায় মোরসি সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতা প্রদান করে আরেকটি ডিক্রি জারি করেন।

অনেকেই মনে করেন যে ওই ডিক্রি জারি করেই মোরসি কার্যত দেশটিতে এক ধরনের সামরিক আইন জারি করার পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছিলেন। কেন না, এই ঘটনার পরেই বিরোধীপক্ষের সঙ্গে মি. মোরসির সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে অর্ধ শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল।

বস্তুতঃ ২০১৩ সালের জুনে নিজের ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মোরসি যেদিন আনন্দ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছিলেন, সেদিন লাখ লাখ মানুষ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাহরির স্কোয়ারে গণবিক্ষোভ করেছিল।

ক্ষমতাচ্যুতির পর কারাবাস তাহরির স্কোয়ারের নতুন বিক্ষোভে উত্তাল মিসরের অবস্থাকে ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর সবচেয়ে খারাপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।

২০১৩ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনী মোরসিকে সংকট সমাধানে আল্টিমেটাম দিলে তিনি তা মানতে অস্বীকার করেন। এরপর ২০১৩ সালের ৩ জুলাই এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মোরসিকে উৎখাত করে মিসরের সেনাবাহিনী।

তৎকালীন সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং নতুন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যা, গুপ্তচরবৃত্তি, বেআইনিভাবে আটক, নির্যাতন-সহ নানান অভিযোগে শুরু হয় বিচার। পরে হত্যার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার ও দমনের অভিযোগে মোরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কারাবন্দী অবস্থায় মোরসি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালের ১৭ জুন তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার বিচার চলছিল।

‘মিশরের দুর্ভাগ্য’

মিশরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসিকে যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে যেভাবে তিনি কারাবন্দী অবস্থায় মারা গেছেন, সেটিকে ‘মিশরের দুর্ভাগ্য’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কাতারে অবস্থিত জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের শিক্ষক ড. আবদুল্লাহ আল আরিয়ান।

“বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠার পর মিশরের সঙ্গে না বলা যত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসির মৃত্যু সেগুলোরই একটি”, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইনে প্রকাশিত একটি মতামতধর্মী লেখায় বলেছেন আরিয়ান।

দীর্ঘদিন স্বৈরতন্ত্রের শাসনে থাকা মিশরের জনগণের জন্য মোরসি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের ‘এক ঝলক’ আশার আলো ছিলেন বলে মনে করেন অধ্যাপক আরিয়ান।

“স্বৈরাচারী সামরিক শাসন থেকে মুক্ত ভবিষ্যতের জন্য মিশরের লাখ লাখ মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, প্রেসিডেন্ট পদে তার (মি. মোরসির) অভাবনীয় বিজয়ে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছিল”, বলেন তিনি।

ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় মোরসির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সেগুলোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।

“দীর্ঘদিন একনায়কতন্ত্রের শাসনে চলা একটি দেশের যাবতীয় সমস্যা মাত্র এক বছরের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে, এমন চিন্তা মোটেও যৌক্তিক নয়”, বিবিসি বাংলাকে বলেন জার্মানপ্রবাসী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক।

আরব বসন্তের শুরু থেকেই মল্লিক মিশরের ঘটনাপ্রবাহের উপর নজর রাখছিলেন। তিনি বলছিলেন যে, একযুগ আগে যে আশায় মিশরের জনগণ রাস্তায় নেমেছিল, তাদের সেই আশা অধরাই রয়ে গেছে।

“যে একনায়কতন্ত্রের কবল থেকে মিশরের জনগণ মুক্তি পেতে আন্দোলন করেছিল, তারা এখন আবার সেটারই অধীনে শাসিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে”, বলেন মল্লিক।

মোহাম্মদ মোরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বিরোধীপক্ষের উপর দমন-পীড়ন সেগুলোরই একটি। “সিসি-র ক্ষমতায় আসার পর সেটি আরও বেড়েছে। এমন কী যারা মোরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল, তাদের মধ্যেও অনেকে সিসি-র শাসনামলে কারাবন্দী হয়েছেন”, যোগ করেন মল্লিক।

তারপরও সিসি এখনও ক্ষমতায় টিঁকে রয়েছেন। অথচ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও মোহাম্মদ মোরসি এক বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।

“সে কারণেই মোরসিকে অনেকে আরব বসন্তের ট্র্যাজিক হিরো বলছেন”, বলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও মোরসি কেন ক্ষমতায় থাকতে পারলেন না, সেটি নিয়ে বিশ্লেষকদের নানান মত রয়েছে।

তবে তুরস্কের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুরাত আসলান মনে করেন, রাজনৈতিক দর্শনের কারণেই মোরসি বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারেননি।

“তিনি ক্ষমতায় থাকলে মিশর পুরোপুরি ইসলামপন্থীদের দখলে চলে যাবে, এমন একটা কথা শোনা যাচ্ছিল, যা মিশরের ভেতরে এবং বাইরে অনেকেই চাননি”, বলেন আসলান।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মিশরে ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। ভোটের ফলাফলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১২ সালের ভোটে মোরসি চার শতাংশেরও কম ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন।

অন্যদিকে, ইসরায়েল এবং পশ্চিমারাও মোরসিকে পছন্দ করেনি বলে মনে করেন তিনি। “মিশরে ইসলামপন্থী সরকার থাকা মানেই সেটি ইসরায়েলের জন্য হুমকি”, বিবিসিকে বলেন মুরাত আসলান।

তিনি আরও বলেন, “কাজেই ইসরায়েল বিষয়টি হয়তো ভালোভাবে নেয়নি। পশ্চিমারাও রাজনৈতিক ইসলামকে এক ধরনের হুমকি হিসেবে দেখে।”

মূল এসব কারণেই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরও পশ্চিমারা মোহাম্মদ মোরসির পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

“কারণ পশ্চিমারা এমন কাউকে মিশরের ক্ষমতায় চাননি, যে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না”, বিবিসিকে বলেন আসলান।

তার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক। “ক্ষমতায় যাওয়ার পর মোরসির সরকার যেভাবে হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল, সেটি ইসরায়েল মোটেও ভালোভাবে নেয়নি”, বিবিসিকে বলেছেন মল্লিক।

এছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কিছুদিন পরেই মোরসি ফিলিস্তিনিদের জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন, যা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল।

“এ ঘটনা ইসরায়েলকে আরও চিন্তিত করে তুলেছিল। কারণ এতে হামাসের সক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল তারা। তাছাড়া মিশর সীমান্ত বন্ধ না করলে ইসরায়েলের গাজা অবরোধ ব্যর্থ হয়”, বলেন মল্লিক।

তিনি আরও বলেন, “এই রাফাহ সীমান্ত দিয়েই হামাস নেতা খালেদ মেশাল কয়েক দশক পর গাজা সফর করেন, যাকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করে ইসরায়েল বিফল হয়।”

“এছাড়া মিসরে ইসরায়েল দূতাবাসেও বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা করে। এটা ইসরায়েল কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেনি। এসব ঘটনা মোরসির ক্ষমতাচ্যুতি ও মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছিল”, বিবিসিকে বলেন মল্লিক।

৬৭ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ মোরসি মৃত্যুর আগে গুপ্তচরবৃত্তির একটি মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর সাথে সন্দেহজনক যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনে ওই মামলা করা হয়েছিল।

অনেকে মনে করেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতেই মোরসির বিরুদ্ধ গুপ্তচরবৃত্তির মামলাটি করেন প্রেসিডেন্ট সিসি।

সূত্র: বিবিসি

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!