বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে এক ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার বিকেলে থানা পুলিশ ছাত্রীর পিতা বণগ্রাম ইউনিয়নের বিষখালী গ্রামের সুব্রত মিস্ত্রীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। এর পূর্বে গত শুক্রবার সুব্রত মিস্ত্রীর মেয়ে স্থানীয় বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী উপমা মিস্ত্রী ঘরে থাকা কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়।
এর একদিন পরেই উপমার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানা যায়, একই গ্রামের কলেজ ছাত্র তমাস দাস ও পার্শ্ববর্তী শৌলখালী গ্রামের শিশির বিশ্বাস ফেসবুকে ছাত্রী উপমা সম্পর্কে আপত্তিকর কথাবার্তা ও একটি ফেক আউডির চ্যাটিংয়ের কিছু স্ক্রীনশর্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। উপমাকে যেভাবে খুশি সেভাবে হাতের কাছে পাওয়ার জন্য এদের একজন উপমাকে অডিও রেকর্ড পাঠিয়েও হুমকী দেন। এসব বিষয় নজরে আসার পরে উপমার পিতা সুব্রত মিস্ত্রী আজ থানায় উপমাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, মামলায় বিষখালী গ্রামের স্বরূপ দাসের ছেলে বাগেরহাট পিসি কলেজের ছাত্র তমাস দাস(২০) ও শৌলখালী গ্রামের শিশির বিশ্বাসকে(১৯) আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তাদেরকে আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে।