বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উফশী আমন ধানের বাম্পার ফলনে বেজায় খুশি কৃষক। অধিক লাভবান এ ধানের বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ২০ থেকে ২২ মন। বাজার দরও রয়েছে ভাল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন সহ পৌরসভায় এ বারে ৫ হাজার ৫শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড উফশী আমন ধান চাষ করেছে কৃষক।
এর মধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১০ হেক্টর জমিতে এ জাতের ধানের ফলন করেছে কৃষক। পোকামাকড় বৈরি আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। পৌরসভার শুভরাজকাঠি গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম মাতুব্বরের দুই বিঘা ৬৬ শতক জমিতে উফশী আমন চাষ করেছেন। চাষী মজুরী, বীজ, সার নিয়ে ব্যায় হয়েছে ১১ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন এবারে ৪০ মন ধান ঘরে তুলতে পারবেন। প্রতি মন ধান বর্তমানে বাজার দর রয়েছে ১১শ’ টাকা।
একই গ্রামের আবু বকর শেখ, আলতাফ মাতুব্বর, কামরুজ্জামান, আবু সালেহ ও শাহাজান শেখসহ একাদিক কৃষকরা বলেন, যেখানে দেশী আমন ফলিয়ে বিঘায় ধান পাওয়া যেতো ৮ থেকে ৯ মন। সে জমিতে এবারে উফশী ধান পেয়েছেন বিঘায় ২০ থেকে ২২ মন। আগামিতে এ প্রজাতের ধান চাষ করবেন অনেকেই। বাম্পার ফলন হওয়ায় পার্শ্ববতী গ্রামগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত অনেকেই খোঁজ খবর নিচ্ছেন। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী এ ভাল ফলন ঘরে তুলতে পারছেন তারা।
এ সর্ম্পকে পৌরসভা ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, শুভরাজকাঠী গ্রামের চাষীরা বিগতদিনে স্থানীয় আমন ধান চাষ করতেন। এ বছর তাদেরকে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে উফশী আমন জাতের ধান ফলানো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তাদের এ বাম্পার ফলন। কৃষকও অনেক খুশী, বাজার দরও রয়েছে বেশী।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আকাশ বৈরাগী জানান, উপজেলায় এ বছরে উফশী আমন আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫শ’ ৫০ হেক্টর। লোকাল আমন ধান আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ৮৩৬ হেক্টর, হাইব্রীড ৩ হেক্টর, মোট ২৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০% জমির ধান কর্তন করা হয়েছে।
উফশী ধানের ফলন বেশী ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ প্রজাতের ধান ফলনের জন্য প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে। এ ফসলে পোকামাকড়ও আক্রমন কম হয়। ফসল বেশী অধিক লাভবান হয় কৃষক। যে কারনে কৃষকদের মাঝে এ ধান ফলনের দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।