বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ শূণ্য থাকায় এমপিও ভূক্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। অধিদপ্তর এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন যথারীতি ৩০ তারিখের মধ্যে ছেড়ে দিলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরের অভাবে বেতন বন্ধ আছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সভাপতি অপসারন হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনোনীত হয়। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান গত ৩০ সেপ্টেম্বর বদলিজনিত কারণে অন্যত্র চলে গেলে এমপিও ভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন ভাতায় স্বাক্ষর করার মত আর্থিক ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। ফলে উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ১৩৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিক্ষক-কর্মচারির বেতন আটকে আছে বলে জানিয়েছেন মোরেলগঞ্জ শিক্ষক সমিতির (মাধ্যমিক) সভাপতি মো. ইউনুস আলী আকন।
এ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক আশিষ কুমার দাস, প্রভাত কুমার মিস্ত্রী বলেন, সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো শারদীয় দূর্গাপুজা। অথচ আজ ১০ তারিখ হয়ে গেলো সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পেলাম না। সামনের সপ্তাহে পাবো কিনা তাও অনিশ্চিত। তারা এমপিও ভূক্ত শিক্ষকদের বৈষম্যের অবসান ঘটাতে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহব্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো. বদরুদ্দোজা বলেন, তিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন। তাকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদেয়র সাথে শিক্ষকদেরকে দেখা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম