বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে পানগুছি নদীর তীর ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা লঞ্চঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের নদীর তীরে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এই কাজের উদ্বোধন করেন।
এসময়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, দক্ষিন পশ্চিাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. সফিউদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ, মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ-ই-আলম বাচ্চু, মোরেলগঞ্জ পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদারসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন পর হলেও এলাকাবাসির মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে এই নদীর তীর রক্ষাবাধঁ প্রকল্প। তবে তীর রক্ষাবাধেঁর পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানাযায়, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে পানগুছি নদীর তীব্র ভাঙ্গন ও বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার ভাটার পানিতে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শত শত বসতবাড়ি, নদীর তীরবর্তী হাট বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলী জমি নদীতে বিলিন হয়। দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে পানগুছি নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাধ প্রকল্পের একনেকে অনুমোদন দেয় সরকার।
পানগুছি নদীর ভাঙ্গন হতে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর ও সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণ ও বিষখালী নদী পুন:খনন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ৫২ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন কাজ করা হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫৯ কোটি টাকা। এই টাকায় ১০ কিলোমিটার নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ, এক কিলোমিটার মেরামত, বিষখালী নদীর ২৩ কিলোমিটার পুনঃখনন ও ৫টি খাল পুনঃ খনন করা হবে। এসব কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. সফিউদ্দিন বলেন, ৬৫৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন রোধ হবে। এছাড়া অন্যান্য কাজের ফলে এলাকাবাসী অনেক সুবিধা পাবে। সময় অনুযায়ী কাজ শেষ করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এসজেড