বাগেরহাটের মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন গাড়ী বন্দরে সংরক্ষণ ও বন্দর থেকে ছাড়করণ প্রক্রিয়ায় চলমান নানা জটিলতার বিষয় নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছেন গাড়ী আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠন বারভিডার নেতৃবৃন্দরা।
রোববার সকালে বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহানের সাথে এ বৈঠক করেন বারভিডার নেতারা । বৈঠকে বারভিডার সভাপতি হক’স বে অটোমোবাইলর্সের মালিক আব্দুল হক তাদের সুবিধা-সুবিধাসহ বেশ কিছু দাবি উত্থাপিত করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্দর এলাকায় বারভিডার নিজস্ব অফিস ও রেষ্টহাউসের জন্য জায়গা বরাদ্দ, করোনাকালীন দুর্যোগের কারণে তিন মাসের গাড়ী ভাড়া মওকুফ, গাড়ী ভাড়ার চার্জ কমানো, গাড়ী যন্ত্রাংশ চুরি রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও তাদের বন্দর জেটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কার্ড প্রদানসহ ইত্যাদি।
বারভিডার সভাপতি আব্দুল হক বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও আমরা বন্দরকে এবং সরকারকে অনেক রাজস্ব দেয়ার চেষ্টা করেছি। বন্দরে আমাদের জন্য যে সমস্যাগুলো ছিল তা নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে বৈঠকটি হয়েছে। আমরা আনন্দিত আমাদের সব কথাগুলো মনোযোগ সহকারে চেয়ারম্যান মহাদ্বয়সহ কমিটির সকলে শুনেছেন এবং তাৎক্ষনিক সমাধানের অঙ্গিকার করেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দিয়েছেন। যেহেতু গাড়ীই একমাত্র প্রধান এখানকার রাজস্ব। আমাদের আরো কিছু টুকটাক সমস্যা ছিল যেমন চুরি হতো, চুরি বন্ধের ব্যাপারে যৌথভাবে আমাদের লোকও আগামীতে এখানে গাড়ী জাহাজ থেকে নামানো থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। এছাড়া গাড়ী আমদানী বাড়ার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ কার ইয়ার্ডও সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বারভিডার সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বারভিডার নেতৃবৃন্দ মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথেও নানা বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘বারভিডার নেতৃবৃন্দের যৌক্তিক দাবিগুলোর মধ্যে তাৎক্ষনিক কয়েকটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম