খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
  চাঁদপুরে মালবাহী জাহাজ থেকে ৭ মরদেহ উদ্ধার ; মুমূর্ষু ১
  ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মোংলা পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণা

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলা পোর্ট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব মো: জুলফিকার আলী নির্বাচনী ৫৬ দফা ইশতিহার ঘোষণা করেছেন। বুধবার পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ ধানের শীষ প্রতীকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার এই নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষণা করেন।

তার ঘোষিত ইশতিহারের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য রয়েছে, পৌরসভার চলমান স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা, পৌরসভা হতে নদীর এপার-ওপার ২৪ ঘন্টা এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু, পৌর কর্তৃপক্ষের অধীনে ফ্রি/নামমাত্র ফি নিয়ে উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, পৌর এলাকার মসজিদের ইমাম/খতিবদের বেতন পৌরসভা হতে মাসিক হারে প্রদাণ, এলাকাভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ ও প্রত্যেক বাড়ী হতে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, বিবাহ, জন্মদিনসহ সভা-সেমিনারের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক সভাকক্ষ করা, পৌর কিচেন মার্কেট, মৎস্য মার্কেট, উন্নতমানের কসাইখানা নির্মাণ, মোংলা নদীর পাড়ে সাংস্কৃতিক চর্চায় রবীন্দ্র সরোবরের ন্যায় উম্মুক্ত মঞ্চ তৈরি, প্রতিটি স্টান্ডে খাবার পানি সরবরাহ, শহরের নিরাপত্তায় প্রতিটি মহল্লা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, পৌর মন্দির ও শ্বশ্মানঘাট নির্মাণ, নদীর ওপারে বাসষ্ট্যান্ডে সুন্দরবন জাদুঘর নির্মাণ, আধুনিক পৌর ভবন নির্মাণ, বুড়িরডাঙ্গা এলাকায় রাস্তা, কবরস্থান করা, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট তৈরি করে পৌরবাসীকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে শহরকে আধুনিক করা এবং পর্যটনবান্ধব পৌর শহর গড়ে তোলা। ইশতিহার ঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র হিসেবে পৌরবাসীর সেবক হয়ে সেবা প্রদান করেছি। ব্যক্তি জীবনের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সর্বদা দলমত ও ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে জরাজীর্ণ এবং জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকা পৌরসভাকে সকলের সহযোগীতায় একটি স্মার্ট সিটিতে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণকালে দুই কোটি নয় লাখ বাষট্টি হাজার চারশত একাত্তর টাকা দেনা ছিল পৌরসভা। সেই সকল দায় দেনা পরিশোধ করে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। পৌর তহবিলে এখন তিন কোটি টাকার উর্ধে রিজার্ভ রয়েছে।

সর্বশেষ পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশ নেই। নির্বাচনের সুবাদে সকলের ঘরে ঘরে যাওয়া সম্ভব হয়নি বিভিন্ন বাধার কারণে। এজন্য আমি সকলের কাছে আন্তুরিকভাবে মর্মাহত ও দু:খ প্রকাশ করছি। পৌরসভার সকল ভোটারদের কাছে তাদের মূল্যবান ভোট চেয়ে তাকে বিজয়ী করার আহবাণ জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!