খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮
সংস্কারের ৫ বছরের মাথায় ভেঙ্গে খানাখন্দ

মোংলা-খুলনা মহাসড়কটি যেন মরণ ফাঁদ

মাহমুদ হাসান, মোংলা

মোংলা বন্দর ও শিল্পাঞ্চলের ভিতর দিয়ে যাওয়া মোংলা-খুলনা মহাসড়কটি সংস্কারের ৫ বছর যেতে না যেতেই ৮ কিলোমিটার সড়কের বেহালদশা। শুকনা মৌসুমে প্রচন্ড ধুলাবালি আবার বর্ষায় হাটু কাঁদা-পানি ও খানাখন্দ। প্রায় তিন বছর ধরে দুর্ঘটনার ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন, চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরের বহুমুখী পরিকল্পনার মধ্যে এ সড়কটি ৬ লেনে প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে জতীয় এ সড়ক সংলগ্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সচেতন না হলে এ সড়কটি সচল রাখা কষ্টকর বলে অভিযোগ বন্দর কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোংলা-খুলনা ৪৫ কিলোমটিার মহাসড়কের বন্দর এলাকা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটারই ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরা। মোংলা বন্দর থেকে শুরু হওয়া গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটি ঢাকা, চট্ট্রগ্রাম, নারায়গঞ্জসহ দেশের দক্ষিনাঞ্চলের সকল বিভাগ ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বহন করে এটি। তাই এখান থেকে দুরপাল্লার বাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে ও আসছে।

এছাড়া বন্দর ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাবসায়ীক মালামাল পরিবহন করা হয় এ সড়ক দিয়ে। প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন মালামাল বোঝাই করে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবহন চালকদের। জাতীয় এ সড়কটির বন্দর এরিয়ায় প্রায় শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকায় দু’পাশে মালামাল বহনকারী লড়ি-ট্রাকসহ যানবাহন রাখার কারণে মানুষ চলাচল করতে পারছেনা। সর্বশেষ ২০১৩ সালের শেষের দিকে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায় এ সড়কটি বন্দর এরিয়ায় সংস্কার করা হয়। কিন্ত ৫ বছর যেতে না যেতেই আবার ভেঙ্গে যায় সড়কটি।

মোংলার বন্দর থেকে দিগরাজ ও বেলী ব্রিজ পর্যন্ত এই ৮ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ এলাকা ভাঁংঙ্গাচোরা আর গর্তে ভরা। কোনো কোনো স্থানে ডেবে উঁচু-নিচু হয়ে আছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে কাদা হয়ে যায়। প্রতি বছর মোটা অংকের টাকা খরচ করে সামান্য সংস্কার করলেও তা কোন কাজে আসছে না। একদিকে মোংলা বন্দরের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত ভারী যানবাহন চলাচল করছে।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!