খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

মোংলায় জাহাজ ডুবি, তিন দিনেও শুরু হয়নি কয়লা উত্তোলন

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে লাইটার জাহাজ ডুবে যাওয়ার তিন দিনেও কয়লা উত্তোলন শুরু করেনি মালিক পক্ষ। যদিও শনিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ ‘এমভি নওমী’ থেকে কয়লা উত্তোলনের নির্দেশনা ছিল বন্দর কর্তৃপক্ষের। গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে ৬০০ টন কয়লা নিয়ে পশুর নদীর চার নম্বর বয়ার কাছে ওই জাহাজটি ডুবে যায়। এতে দুই নিরাপত্তা কর্মিসহ আট নাবিক জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, লাইটার জাহাজ ‘এম ভি নওমী’ বন্দরের পাঁচ নম্বর বয়ায় অবস্থানরত পানামা পতাকাবাহী ‘সিএমভি জর্দান’ বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে চার নম্বর বয়ার কাছে এসে তলা ফেটে ডুবে যায়। এঘটনার পর পরই সেখানে পরিদর্শন করে মার্কিন বয়া স্থাপন করেন তারা। তবে এতে বন্দরের নৌ চ্যানেল ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে শনিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লাইটার জাহজটি উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে সে কাজ এখনও শুরু করেনি ওই জাহাজের মালিকপক্ষ। জাহাজটির মাষ্টার মোঃ আজিজুল হকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাটের আহবায়ক মোঃ নুর আলম শেখ বলেন, কয়লা একটি বিষাক্ত ময়লা। এই কয়লার জন্য সুন্দরবনের মারাত্নক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। একই সাথে কয়লা মিশ্রিত পানি খেয়ে জলজ প্রাণী এবং পশুর নদীর খাদ্য শৃঙ্খলের মারাত্নক ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত এই কয়লা অপসরণের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন-সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতার কারণে বারবার এই নৌ দুর্ঘটনা ঘটছে। এসবের ব্যাপারে তাদের আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ নভেম্বর কয়লা নিয়ে পশুর নদীতে আরও একটি লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!