মোংলায় উপজেলার মাকড়ঢোন এলাকায়ল এক স্কুলে ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে ধর্ষনের এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। এ ঘটনায় মুসা খান (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
ভিকটিমের পরিবারের সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৬ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১টার সময় ভিকটিম তার একই এলাকায় তার দাদার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার পথে সাইফুল মুহুরির বাড়ির সামনে পৌঁছালে মুসা খান (২০) তাকে জোরপূর্বক নির্মাণাধীন একটি বাড়ির ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পার্শবর্তী এক মহিলা শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে তার পরিবারকে খবর দেয়।
শিশুটির রক্তক্ষরণ ও শারিরীকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে দুপুরে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরতো চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার শিশুটির পরিবার মোংলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তার পরিবার।
ধর্ষক মাকড়ঢোন এলাকার সাইফুল মহুরির ছেলে মিঠু খানের শ্যালক। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার বড়- মাছুয়া গ্রামে। সে গতো ৩/৪ দিন আগে মোংলাতে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে মোংলা থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, ভিকটিমের শারীরিক পরিক্ষার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষক ওই যুবককে শরনখোলা উপজেলার ফেরীঘাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করা হয়েছে।