রক্তমাখা বাঁশখালীসহ সকল কয়লা বিদ্যুৎ বন্ধ করে বাংলাদেশের উপকূলকে বাঁচাতে হবে। বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক সাত শ্রমিক হত্যার বিচার করতে হবে। ধরিত্রীকে বাঁচাতে ফসিল ফুয়েল থেকে এই মুহুর্তেই বিশ্বকে সরে আসতে হবে। জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায়
উন্নত বিশ্বকে ক্ষতিগ্রস্থ দেশসমুহকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা করে সরকারকে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলা শাখার আয়োজনে উপকূলজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে লকডাউনে নিজগৃহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।
“রক্তমাখা বাঁশখালীসহ সকল কয়লা বিদ্যুৎ বন্ধ করো, বাংলাদেশ উপকূল রক্ষা করো” শ্লোগানে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
(বাপা) মোংলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা মোল্লা আল মামুন, জানে আলম বাবু, শেখ রাসেল প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ এবং গণবিরোধী উন্নয়ন পরিকল্পনার ফলে ধরিত্রী আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এখনই সময় পরিবেশ বান্ধব পৃথিবী গড়ে তোলার। ফসিল ফুয়েল কেন্দ্রিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে নবায়িত জ্বালানি শক্তিতে ফিরে আসতে হবে। বক্তারা নদী-খাল-বিল-জলাশয়-পাহাড়-জঙ্গল দখল করে পরিবেশ বিরোধী এবং সুন্দরবন বিনাশী উন্নয়ন পরিকল্পনা বন্ধের আহ্বান জানান। বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে উপকূলজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাপা মোংলা শাখার উদ্যোগে শিশুরা প্লাকার্ডে পরিবেশ বান্ধব নানা শ্লোগান লিখে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করে।
খুলনা গেজেট/কেএম