বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচনি সহিংসতায় অফিস ভাংচুরসহ দু’জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মিঠাখালী ও সুন্দরবন ইউনিয়নে সোমবার রাতে পৃথক এই ঘটনা ঘটে।
মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. আরিফ ফকির অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল সোমবার সন্ধ্যার কিছু পরে স্থানীয় চৌরিডাঙ্গায় তাঁর নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা চালান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুবেল তরফদার। এ সময় তাঁর কর্মীরা বাধা দিলে আবদুর রহমান শেখ (৩২) ও রাসেল শেখকে (২৫) কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। তাঁদের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে হামলা ও মারধরের বিষয়ে রুবেল তরফদার দাবি করেন, ‘রহমান ও রাসেলকে কারা কুপিয়েছে তা আমি জানি না।’
এদিকে হামলার ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবন ইউনিয়নেও। সেখানে নৌকার প্রার্থী মো. একরাম ইজারাদার ও ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী আলম ফকিরের নির্বাচনি ক্যাম্পে ফিল্মি স্টাইলে ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে হামলা চালায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান সদস্য আহাদুল খাঁন এমন অভিযোগ আহাদুলের প্রতিপক্ষ সদস্য প্রার্থী আলম ফকিরের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান সদস্য আহাদুল খাঁন বলেন, ‘আলম ফকিরের লোকজনই নিজেরা এ কাণ্ড ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।’
এদিকে, এই দুই সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘গণ্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম