মোংলার চৌরিডাঙ্গা এলাকায় প্রায় চারশত বিঘার একটি চিংড়ি ঘেরের মালিকানা ও দখল নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় দুইটি গ্রুপ। দীর্ঘদিন একটি পক্ষ জবরদখল করে জমির মালিকদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপটির দাবি তাদের জমি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে চিংড়ি ঘেরটি দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের চৌরিরডাঙ্গা এলাকায় প্রায় চারশ’ বিঘা জমির ঘেরে চিংড়ি চাষ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা টিপু হাওলাদার ও সাইফুল মোল্লা। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী শাহ আলী, নুরুল আমিন ও মিজান তাদের মালিকানাজমিতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। কিন্ত তারা তাদের কোন টাকা পয়সা দিতেন না। এমন পরিস্থিতিতে গত মাসে তারা কয়েকজন জমির মালিক একসাথে হয়ে সমবায় ভিত্তিতে ‘ঢাকা ঘের’ নামকরণ করে ওই ঘেরে তারা মাছ চাষ শুরু করেন। তবে আগে জবরদখলে থাকা প্রতিপক্ষ গ্রুপটি তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছেন।
টিপু হাওলাদার বলেন, তাদের চিংড়ি ঘের দখলমুক্ত করতে সহায়তা করায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফ ফকিরকে নানাভাবে হয়রানী করছে প্রতিপক্ষরা।
অন্যদিকে জমির মালিক স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ ও শাহ আলী বলেন, ওই চিংড়ি ঘেরে তাদের মালিকানা জমি রয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে মাছ চাষ করতে পারছেন না। টিপু হাওলাদার ও সাইফুল মোল্লার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের মালিকানা স্বত্ব না দেয়ার জন্যই এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা-রামপাল সার্কেল) মো: আসিফ ইকবাল বলেন, ওই চিংড়ি ঘেরের মালিকানা নিয়ে দ্বন্ধের জেরে দুইটি গ্রুপ ইতিমধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট / টি আই