মোংলার বাঁশতলায় গভীর রাতে চিংড়ি ঘেরে অবস্থিত বাসায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এতে জাল ও মাছ ধরার সরঞ্জামসহ সম্পূর্ন ভুস্মিভুত হয়েছে ঘেরের বাসা। এ সময় হামলাকারীদের মারধর অগ্নিসংযোগের মুখে ঘেরের পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে প্রাণ রক্ষা করে চিংড়ি চাষী ফরহাদ হাওলাদার(৪০)। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
উপজেলার উত্তর বাঁশতলা গ্রামের দিগারখন্ড গ্রামের চিংড়ি চাষী ফরহাদ হাওলাদার জানান, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী জনৈক প্রভাবশালী চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্য রাতে ওই ব্যবসায়ীর ছেলেসহ ৫-৬ জনের দলবল লাঠিসোটা নিয়ে নৌকা যোগে ফরহাদ হাওলাদের চিংড়ি ঘেরে পৌছায়। এ সময় পাশের ঘের থেকে মাছচুরি অভিযোগ তুলে হুমকি ধামকি ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ সঙ্গে থাকা নগদ টাকা কেঁড়ে নেয়। এক পর্যায় চিংড়ি ঘেরের বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েলে তা নেভাতে ব্যর্থ হয়ে পানিতে ঝাপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে ঘের মালিক ফরহাদ হাওলাদার। পরে তার ডাক চিৎকারে গ্রামের আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলেও আগুনে পুঁড়ে ছাই হয়ে যায় জাল ও আসবাপপত্রসহ পুরো ঘেরের বাসা। প্রতিবেশীর পূর্ব শত্রুতামূলক হামলা ও অগ্নিসংযোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ চিংড়ি চাষীর পরিবার।
এদিকে চিংড়ি ঘেরের বাসায় হামলা ও অগ্নিসংগোর ঘটনা অস্বীকার করে মুঠো ফোনে ছালাম জানান, তার পূত্র মুরাদ শেখ ঘেরের পাহারা দিতে গিয়েছিল আর এ সময় ফরহাদ মাছ চুরি করে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে ধরে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।