খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

মোংলায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৫০টি ঘর

মোংলা প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোংলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ভূমি ও গৃহহীন ৫০টি পরিবারের জন্য ঘর তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এসব ভূমি ও ঘর উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম আগামী রবিবার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রী ২য় পর্যায়ে নির্মিত ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নিকট হস্তান্তর করবেন।

এদিকে অপেক্ষার প্রহর গুণছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার এসব পাকা ঘর পাবেন যেসব গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলো। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো মানুষগুলো জায়গাসহ নতুন ঘর পাবে এমন আনন্দে অনেকেই আত্মহারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এর মধ্যে ঘরের কাজ পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাট-৩ এর সাংসদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এবং বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

`আশ্রয়নের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগান নিয়ে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মোংলা উপজেলায় ২য় পর্যায়ে ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। সকল ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহুর্তে চলছে রং এর কাজ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মোংলা উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করা হয় কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর গুলির ডিজাইনও একটু দৃষ্টিনন্দন ও মনমুগ্ধকর ভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে।

৪৩৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর ও একটি বারান্দা। ঘর ও আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হবে ভূমিও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে। টিনশেডের এই ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবে।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, আমরা সরকারের খাস জমিতে ভূমি ও গৃহহীন হতদরিদ্রদের জন্য ৫০টি ঘর নির্মাণ করেছি। প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কাজের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ঘর দেওয়ার জন্য উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেছি। যারা প্রকৃত ভূমিহীন তারাই এই সুবিধার আওতায় এসেছেন। খুব শিগগিরই তাদের মধ্যেই ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে জানান মোংলার এ কর্মকর্তা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!