মোংলার ছয়টি ইউনিয়নের সব কয়টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী ছিল অনেক। বুধবার (২৪) মার্চ ছয়টি ইউনিয়ন থেকে বিদ্রোহী প্রতিদ্বন্দ্বিসহ সব প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। তাই এসকল ইউনিয়নে একক প্রার্থী হিসেবে টিকে যান নৌকা সমর্থিত প্রার্থীরা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচন অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী উদয় শংকর, সোনাইলতলায় ইউনিয়নে নাজরিনা বেগম নাজিনা, চাঁদপাই ইউনিয়নে মোল্লা তারিকুল ইসলাম, মিঠাখালী ইউনিয়নে উৎপল কুমার মন্ডল, সুন্দরবনে একরাম ইজারাদার ও চিলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ছয়টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। কিন্তু বিদ্রোহীরা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ মার্চ বুধবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে ছয়টি ইউনিয়নে এখন নির্বাচন হবে শুধু সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের মধ্যে। তবে এরি মধ্যে কয়েকজন সদস্যও তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে একজন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ পদে এখন নির্বাচন হবে ৩৭ জনের মধ্যে। আর সংরক্ষিত আসনে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১০ জনই আছেন।
সোইনাইলতলা ইউনিয়নে একজন সাধারণ সদস্য পদ থেকে প্রত্যাহার করায় ২৮ জন ও সংরক্ষিত আসনে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১১ জন নির্বাচন করছেন।
মিঠাখালী ইউনিয়নে দুইজন সাধারণ সদস্য প্রত্যাহার করায় ৩৪ জন ও সংরক্ষিত আসনে কেউ না করায় এ নির্বাচন প্রতিদন্ধীতা করছেন ১১ জন সদস্য।
চাঁদপাই ইউনিয়নেও দুইজন সাধারণ সদস্য পদ প্রত্যাহার করায় ৩৬ জন ও সংরক্ষিত আসনে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১৩ নির্বাচন অংশ গ্রহন করছেন।
সুন্দরবন ইউনিয়নে নয়জন সাধারণ সদস্য প্রত্যাহার করায় ৩১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১২ জনই নির্বাচন করছেন এ ইউনিয়নে।
আর চিলা ইউনিয়নে একজন সাধারণ সদস্য পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ৪২ জন ও সংরক্ষিত আসনে দুইজন প্রত্যাহার করায় ১৬ জন প্রার্থী আগামী ১১ এপ্রিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করবেন। এ ছয়টি ইউনিয়নে নারী পুরুষ মিলে মোট ভোটার রয়েছেন ৭৯ হাজার ৫৪০ জন।
খুলনা গেজেট/কেএম