ঈদ উৎসবকে ঘিরে মোংলার মেরিন ড্রাইভে প্রকৃিত প্রেমীদের উপচে পড়া ভীড় বাড়ছে। করোনা প্রাদুভার্বের দীর্ঘ সময় পর হঠাৎ করেই যেন সুযোগ এলো ঈদ আনন্দের। তাই ঈদের ২য় দিনেও পশুর আর মোংলা নদীর মোহনার এপার-ওপারের প্রায় ৯ কিলোমিটার নদীর কুল ঘেষা এ সড়কের দু’ধারে হরেক রকম বৃক্ষ আর বণ্যপ্রানীর প্রতিকৃতি দৃষ্টি কাঁড়ে দর্শনার্থীদের। বাড়তি আকর্ষণ নদীর তীর ভাঙ্গা ছোট ছোট ঢেড আর পালতুলে ছুটে চলা নৌকা, পশুর নদীর নোনা জলরাশি।
সবমিলিয়ে মেরিন ড্রাইভের দু’ধারের কাশবন প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে যেন এক ভিন্ন আমেজে রুপ নিয়েছে। দুর হতে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য, পরন্ত বিকালে, সুর্যাস্থ সহ দুষনমুক্ত বাতাসে নিঃস্বাস নিতে শিশু থেকে নানা বয়ষের মানুষ ভীড় করছে নদীর তীরবর্তী মেরিন ড্রাইভে।
ঈদ আনন্দকে ঘিরে এখানে যেন সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। করোনা ভাইরাস সংক্রমন বলে কিছু আছে এমন প্রশ্ন ছিল না কারো মনে। দক্ষিণাঞ্চলের এক মাত্র পর্যটক কেন্দ্র সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও হারবাড়িয়া টুরিজম ষ্পট।
ঈদের ছুটি বা মৌশুমে এখানে প্রতি বছর দেশী-বিদেশী পর্যটক সুন্দরবনের দৃশ্য দেখার জন্য ভ্রমণে আসে। আর এ পর্যটন খাতে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক লঞ্চ, জালিবোট ও ট্রলারসহ দর্শনার্থীদের বহনকারী অসংখ্য জলযান। এই জলযানে কর্মরত কয়েক হাজার শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘ ৪ মাস ধরে বেকার। মাহামারি এই ভাইরাসের কারণে সুন্দরবনের পর্যটন স্পট সমূহে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ। একই সঙ্গে স্থানীয় বিনোদন কেন্দ্রগুলো লকডাউন হওয়ায় পশুর ও মোংলার নদীর র্তীরবর্তী এই মেরিন ড্রাইভে প্রকৃতি প্রেমীদের দমাতে পারেনি করোনা ভাইরাস।
কারো মাস্ক আছে আবার কারো নেই, তাতে কি ঈদ আনন্দে এখানে সামলি হচ্ছে সকল বয়সের মানুষ। তবে মটরযান সহ বিশৃংখলা বন্ধে রয়েছে পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর বাড়তি নজরদারী।
খুলনা গেজেট / এমএম