মোংলার ধনখালী এলাকায় আগুনে পুড়ে গেছে মন্দিরসহ ৫টি বসত ঘর। এতে প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের। বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয়দের। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে রান্না ঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধনখালী গ্রামের দুলাল মন্ডলের (৬২) বসত ঘরে রবিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘরে ঘুম থাকা গৃহকর্তা দুলাল ও তার স্ত্রী এবং ছেলে দ্রুত বাহিরে বেরিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দুলাল মন্ডলের বাড়ীর পারিবারিক উপস্যানলয়সহ ৫টি বসত ঘরে। ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীরা মোংলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে আধ ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট। তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীতে থাকা পানি দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন তারা। গাড়ীর পানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলে তারা পাশের খালে পাইপ সংযোগ লাগান। ততক্ষণে আগুনে পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায় দুলাল মন্ডলের দোতলা কাঠ-টিনের একটিসহ ৪টি ঘর ও একটি উপস্যানলয়। আগুন নিভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় কয়েকজন আহতও হয়েছে। এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন ঘর মালিক দুলাল মন্ডল।
তিনি বলেন, তার ঘরে নগদ ৫ লাখ টাকা ও বেশ কয়েক ভরি স্বর্ণালংকারসহ অনেক মূল্যবান মালামাল ছিল। ছিল ঘরের দলিলপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্রও। দুলাল মন্ডল পেশায় ঘের ব্যবসায়ী ও জমিজমার মালিক। এছাড়া তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। তিনি বলেন, তার বাড়ীর উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎতের পিলার ও সার্ভিস ক্যাবল রয়েছে। তাই বৈদ্যুৎতিক সটসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে দাবী করেন তিনি।
এদিকে মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মোঃ আহাদুজ্জামান বলেন, ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আগুন লাগার খবর পেয়ে আধ ঘন্টার মধ্যে আমরা সেখানে গিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে ওই বাড়ীর রান্না ঘর থেকেই এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে। ওই বাড়ীতে কাঠের চুলার পাশাপাশি গ্যাসের চুলাও ছিল।